নিরপেক্ষ বচন বলতে কী বোঝো ? গুণ ও পরিমাণ অনুযায়ী নিরপেক্ষ বচনের শ্রেণীবিভাগ কর । একটি উদাহরণ দিয়ে নিরপেক্ষ বচনের অংশ গুলি দেখাও। HS Philosophy Suggestion 2025

নিরপেক্ষ বচন বলতে কী বোঝো ? গুণ ও পরিমাণ অনুযায়ী নিরপেক্ষ বচনের শ্রেণীবিভাগ কর । একটি উদাহরণ দিয়ে নিরপেক্ষ বচনের অংশ গুলি দেখাও।
উচ্চ মাধ্যমিক দর্শন সাজেশন 


নিরপেক্ষ বচন বলতে কী বোঝ ?
নিরপেক্ষ বা অনপেক্ষ বচন কাকে বলে? গুন ও পরিমান অনুযায়ী নিরপেক্ষ বচনের শ্রেণী বিভাগ করো? একটি উদাহরণ দিয়ে নিরপেক্ষ বচনের অংশ গুলি দেখাও।

অথবা, গুন ও পরিমান অনুযায়ী নিরপেক্ষ বচনের শ্রেণীবিভাগ করো ?

অথবা, নিরেপেক্ষ বচনের গুন ও পরিমান বলতে কী বোঝ ? গুন অনুযায়ী নিরপেক্ষ বচনের শ্রেণী বিভাগ করো?

অথবা, বচনের পরিমান বলতে কী বোঝ? পরিমান অনুযায়ী বচনের শেণীবিভাগ করো?


★ নিরপেক্ষ বচন:

যে বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় দুটি শ্রেণীর মধ্যে সম্বন্ধ (স্বীকৃতি বা আস্বীকৃতি ) ঘোষণা করা হয় এবং যে সম্বন্ধ কোনো শর্তের উপর নির্ভরশীল নয়, সেই বচনকে বলা হয় নিরপেক্ষ বা অনুপেক্ষ বচন ।
অথবা,
 যে বচনের উদ্দেশ্য ও বিধেয় এর সম্বন্ধ অন্য কোনো শর্তের উপর নির্ভর করে না, তাকে নিরপেক্ষ বা অনুপেক্ষ বচন বলে । যেমন - 'সকল শিশু হয় সরল', 'কোনো মানুষ নয় দেবতা' ইত্যাদি।

★ গুন অনুযায়ী বচনের শ্রেণী বিভাগ:

গুন অনুসারে বচনকে দুটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়, যথা - (১) সদথক বা হ্যাঁ বাচক(A,l) এবং (২) নঙ্গার্থক বা না- বাচক (E,O) ।


(১) সদর্থক বচন: যে বচনে বিধেয়টি উদ্দেশ্য সম্পর্কে কোনো কিছু স্বীকার করে, তাকে সদর্থক বচন বা হ্যাঁ বাচক বচন বলে । যেমন - (ক) সকল সাংবাদিক হয় শিক্ষিত ব্যাক্তি (খ) কোনো কোনো ফুল হয় সাদা ।

উপরোক্ত উদাহরণ দুটির মধ্যে প্রথম বচনটিতে 'শিক্ষিত ব্যাক্তি' গুণটি 'সকল সাংবাদিক' সম্পর্কে স্বীকার করা হয়েছে এবং দ্বিতীয় বাচনটিতে 'সাদা' গুণটি 'কোনো কোনো ফুল' সম্পর্কে স্বীকার করা হয়েছে । তাই এই বচন দুটি সদর্থক ।

(২) নঙ্গার্থক বচন: যে বচনে বিধেয়টি উদ্দেশ্য সম্পর্কে কোনো কিছু অস্বীকার করে তাকে নঙ্গার্থক বচন বা নবাচক বচন বলে । যেমন - (ক) কোনো মানুষ নয় অমর (খ) কোনো কোনো ফুল নয় সাদা।

উপরোক্ত উদাহরণ দুটির মধ্যে প্রথম বচনটিতে 
'অমর' গুণটি 'প্রতিটি মানুষ' সম্পর্কে অ-স্বীকার করা হয়েছে এবং দ্বিতীয় বচনটিতে 'সাদা' গুণটি 'কোনো কোনো ফুল' সম্পর্কে অ-স্বীকার করা হয়েছে । কাজেই বচন দুটি নঙ্গর্থক ।


★ পরিমাণ অনুযায়ী বচনের শ্রেণী বিভাগ:

পরিমাণ অনুসারে বচন দুই প্রকার, যথা - (1) সামান্য বা সার্বিক বচন ( A,E ) এবং (1) বিশেষ বচন ( I,O )


(১) সামান্য বচন: যে বচনে বিধেয়টি সমগ্র উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্বীকার বা অস্বীকার করে, তাকে সামান্য বা সার্বিক বচন বলে। যেমন - (ক) সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব। (খ) কোন কোন মানুষ নয় পূর্ণজীব।

এখানে প্রথম উদাহরণে বিধেয় 'মরণশীল জীব' 'সকল মানুষ' সম্পর্কে স্বীকার করা হয়েছে এবং দ্বিতীয় উদাহরণে বিধেয় 'পূর্ন জীব' 'সকল মানুষ' সম্পর্কে অস্বীকার করা হয়েছে।


(২)বিশেষ বচন: যে বচন বিধেয় উদ্দেশ্যের কিছু অনির্দিষ্ট অংশকে স্বীকার বা অস্বীকার করে, তাকে বিশেষ বচন বলে। যেমন- (ক) কোন কোন মানুষ হয় কবি এবং (খ) কোন কোন মানুষ নয় সৈনিক।

এখানে প্রথম উদাহরণে বিধেয় পদটি 'কবি' 'কোন কোন মানুষ' সম্পর্কে স্বীকার করা হয়েছে এবং দ্বিতীয় উদাহরণে বিধেয় পদ 'সৈনিক' 'কোন কোন মানুষ' সম্পর্কে অস্বীকার করা হয়েছে।


নিরপেক্ষ বচনের চারটি অংশ, যথা -  (1) মানক বা পরিমানক (2) উদ্দেশ্য পদ (3) সংযোজক (4)বিধেয় পদ।


মানক    উদ্দেশ্যপদ    সংযোজক    বিধেয়পদ

↓↓       ↓↓           ↓↓            ↓↓

সকল       মানুষ             হয়        মরণশীল জীব 



বচনের গুন ও পরিমাণ কাকে বলে? 


(১) বচনের গুন : কোন বচনের 'গুন' বলতে বচনটির উদ্দেশ্যপদ সম্পর্কে বিধেয় পদের কোন কিছু স্বীকার করা বা অস্বীকার করাকে বোঝায় । সাধারণভাবে কোন কিছু স্বীকার করলে বচনটি সদর্থক হয়, আর অস্বীকার করলে বচনটি নঙ্গর্থক হয় । কাজেই বচনে সদর্থক বা নঙ্গর্থক হওয়াকে বলা হয় বচনের গুণ।


(২) বচনের পরিমাণ: কোন বচনের 'পরিমাণ' বলতে বচনটির উদ্দেশ্য শ্রেণী সম্পর্কে বিধেয় শ্রেণীর সমগ্রিক বা অংশিক ভাবে স্বীকার বা অস্বীকার করাকে বোঝায় । সাধারণভাবে উদ্দেশ্য শ্রেণীর সামগ্রিক অংশকে বোঝালে বচনটি সামান্য হয়, আর অংশিক অংশকে বোঝালে বচনটি বিশেষ হয়।


আরও পড়ুন: 

মিলের অন্বয়ী পদ্ধতি আলোচনা করো। [সংজ্ঞা, আকার, দৃষ্টান্ত, সুবিধা (দুটি), অসুবিধা (দুটি)]









Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url