বচন কাকে বলে? একটি নিরিপেক্ষ বচনের কয়টি অংশ ও কি কি? Class 12 Philosophy Suggestion


বচন কাকে বলে নিরিপেক্ষ বচনের কয়টি অংশ ও কি কি
উচ্চ মাধ্যমিক দর্শন সাজেশন | বচন


⦿ বচন কাকে বলে

সাধারণ ভাবে, অবধারনের ভাষায় প্রকাশিত রূপকে বচন বলা হয়
অন্য ভাবে বলা যায় ,দুটি পদের মধ্যে কোনো একটি সম্বন্ধের স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতিকে বলা হয় বচন । যেমন - সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব । 
এই বচনে 'মানুষ' 'মরণশীল জীব' । এই দুটি পদের মধ্যে একটি সামন্ধকে স্বীকার করে হয়েছে ।
কোনো মানুষ নয় অমর । এই বচনে 'মানুষ' 'অমর' এই দুটি পদের মধ্যে একটি সমন্ধকে অস্বীকার করা হয়েছে ।
 সুতরাং - বাক্যের দুটি গুরুত্বপুরন বিশিষ্ট হল 
(1) বচন হল ঘোষক বা বিবৃতী মূলক বাক্য ।
(2) বচন সত্য বা মিথ্যা হতে পারে ।

⦿ বচন কয় প্রকার ও কি কি

সমন্ধ অনুযায়ী বাচনকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন -
(১) নিরেপেক্ষ বচন এবং (২) সাপেক্ষ বচন


⦿ নিরেপেক্ষ বচনের কয়টি অংশ ও কি কি

একটি আদর্শ নিরেপেক্ষ বচন চারটি অংশ নিয়ে গঠিত হয় । যেমন -
(১) মানক ও পরিমাণক (২) উদ্দেশ্যপদ
(৩) সংযোজক এবং (৪) বিধেয়পদ

(১) মানাক ও পরিমাণক

বচনের পরিমান নির্দেশক অংশটি হল তার পরিমানক অর্থাৎ যে অংশটি দিয়ে কোনো বচনের উদ্দেশ্য অংশ পরিমান বা বিস্তৃতিকে সূচিত করা হয়, তাকে বলা হয় বচনের পরিমানক । যেমন - সকল , কোনো , কোনো কোনো, - এই শব্দগুলি কোনো একটির দ্বারা বচনের পরিমান নির্দেশ করা হয় তাই এই গুলিকে বলা হয় বচনের মানক বা পরিমানক ।

(২) উদ্দেশ্যপদ

বচনের যে পদ সম্পর্কে কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করা হয় তাকে বলা হয় উদ্দেশ্য পদ । যেমন - ফুল হয় লাল, এখানে ফুল হলো লাল উদ্দেশ্য পদ । 

(৩) সংযোজক

যে শব্দের দ্বারা উদ্দেশ্যপদ বা বিধেয় পদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা হয় , তাকেই বলা হয় সংযোজক । যেমন - সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব - এখানে 'হয়' টা হল সংযোজক ।

(৪) বিধেয়পদ

বচনের উদ্দেশ্যপদ সম্পর্কে যা কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করা হয় তাকে বিধেয়পদ বলা হয় ।জেমন - সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব , এখানে 'মরণশীল' পদটি হল বিধেয়পদ ।

বচন হল চারটি - A, E, I, O




⦿ বাক্য কাকে বলে

যে শব্দ বা শব্দ সমষ্টির দ্বারা মনের ভাবকে প্রকাশ করা হয় ,তাকে বাক্য বলে ।
যেমন - আমটি কাঁচা ।

আরও পড়ুন : বাক্যকে বচনে রূপান্তরিত করার নিয়মগুলি লেখ ?





Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url