ব্যাপ্যতার সংজ্ঞা দাও ? ব্যাপ্যতার নিয়ম গুলি লেখ । HS PHILOSOPHY SUGGESTION 2025

ব্যাপ্যতার সংজ্ঞা দাও ? ব্যাপ্যতার নিয়ম গুলি লেখ।


পদের ব্যাপ্যতা :- 

একটি বচনের দুটি পদ থাকে উদ্দেশ্যপদ ও বিধেয় পদ। এই দুটি পদ বা এর কোন পদ যখন একটি বচনে তার সম্পূর্ণ ব্যক্তার্থ বা বাচ্যার্থকে বোঝায় তখন তাকে বা পদ বলে ।

অপরদিকে একটি বচনে কোন পদ যখন তার আংশিক ব্যক্তার্থ বা বাচ্যার্থকে বোঝাই তখন বুঝতে হবে সেই পদটি অব্যাপ্য হয়েছে।


‣ ব্যাপ্য পদের উদাহরণ : 

সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব --- 'A' এই বচনটিতে 'মানুষ' হল উদ্দেশ্য পদ । এখানে 'মানুষ' পদটির সমগ্র ব্যক্তার্থকে গ্রহণ করা হয়েছে । তাই এখানে 'মানুষ' পদটি হল ব্যাপ্য পদ ।


‣ অব্যাপ্য পদের উদাহরণ :

কোন কোন মানুষ হয় সৎ ---'I' এই বচনটিতে 'মানুষ' হল উদ্দেশ্য পদ। এখানে 'মানুষ' পদটি আংশিক ব্যক্তার্থকে  গ্রহণ করা হয়েছে । তাই এখানে 'মানুষ' পদটি হল অব্যাপ্য পদ ।





বিভিন্ন প্রকার নিরপেক্ষ বচনের পদের ব্যাপ্যতার ব্যাখ্যা ---

A,E,I এবং O --এই চারটি হল নিরপেক্ষ বচন এই চার প্রকার বচনে কোন কোন পদ ব্যাপ্য এবং কোন কোন পদ অব্যাপ্য তা নিম্নে আলোচনা করা হলো ----



A সামান্য সদর্থক বচন :

সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব - এটি একটি 'A' বচন । এই বচনের, 'মানুষ' হল উদ্দেশ্যপদ এবং 'মরণশীল জীব' হল বিধেয় পদ । এখানে 'মানুষ' পদটি ব্যাপ্য। কারণ এই ক্ষেত্রে মানুষ পদটির সমগ্র বাচ্যার্থকে গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু 'মরণশীল জীব' পদটির সম্পূর্ণ বাচ্যার্থকে গ্রহণ করা হয়নি সুতরাং মরণশীল ব্যাপ্য নয় । সুতরাং A বচনে উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য হয় এবং বিধেয় পদ অব্যাপ্য । তবে 'A' বচনে ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত আছে যেখানে উদ্দেশ্য এবং বিধেয় উভয় পদই ব্যাপ্য হতে পারে । যেমন এভারেস্ট হয় পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ 'A' এই বচনটিতে উদ্দেশ্য ও বিধেয় উভয় পদই ব্যাপ্য ।



E সামান্য নঙ্গর্থক বচন :

কোন মানুষ নয় পূর্ণ জীব - এটি একটি 'E' বচন । এই বচনের উদ্দেশ্য অর্থাৎ 'মানুষ' পদটি ব্যাপ্য । কারণ এখানে পূর্ণতা গুণটি সকল মানুষ সম্পর্কে অস্বীকার করা হয়েছে আবার এই বচনের বিধেয় অর্থাৎ পূর্ণ পদটি ও ব্যাপ্য কারণ সমগ্র বাচ্যার্থকে গ্রহণ করা হয়েছে সুতরাং E বচনের উদ্দেশ্য ও বিধেয় উভয় পদই ব্যাপ্য ।



I বিশেষ সদার্থক বচন :

কোন কোন মানুষ হয় সৎ ব্যাক্তি - এটি একটি 'I' বচন এই বচনের উদ্দেশ্য ও অর্থাৎ 'মানুষ' পদটি অব্যাপ্য । কারণ এখানে 'সৎ ব্যাক্তি' গুণটি কোন কোন মানুষ সম্পর্কের স্বীকার করা হয়েছে । তাই এখানে মানুষ পদটির সমগ্র বাচ্যার্থ গ্রহণ না করে আংশিক বাচ্যার্থ গ্রহণ করা হয়েছে। আবার এই বচনে বিধেয় অর্থাৎ সৎ ব্যাক্তি পদটি অব্যাপ্য 'সৎ ব্যক্তি' পদটি সমগ্র বাচ্যার্থ গ্রহণ করা হয়নি সুতরাং 'I' বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় উভয় পদই অব্যাপ্য ।



O বিশেষ নঙ্গর্থক বচন :

কোন কোন মানুষ নয় সৎ ব্যাক্তি - এটি একটি 'O' বচন এই বচনের উদ্দেশ্য 'মানুষ' পদটি ব্যাপ্য নয় কারণ এখানে 'সৎ ব্যাক্তি' গুণটি কোন কোন মানুষ সম্পর্কে অস্বীকার করা হয়েছে ফলে 'মানুষ' পদের সমগ্র বাচ্যার্থ গ্রহণ করা হয়নি। কিন্তু আলোচ্য বিধেয় 'সৎ ব্যাক্তি' পদটি ব্যাপ্য। কারণ কোন কোন মানুষ সমগ্র সৎ গুণের সর্বটুকু অস্বীকার করা হয়েছে ফলে সৎ ব্যাক্তি পদটির সমগ্র বাচ্যার্থকে গ্রহণ করা হয়েছে। সুতরাং 'O' বচনের উদ্দেশ্য পদ অব্যাপ্য এবং বিধেয় পদ ব্যাপ্য।



অতএব সংক্ষেপে বলা যায়-----

(১) A বচনের শুধু উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য 

(২) E বচনের উদ্দেশ্য ও বিধেয় উভয় পদই ব্যাপ্য 

(৩) I বচনের কোন পদই ব্যাপ্য নয় 

(৪) O বচনের শুধু বিধেয় পদ ব্যাপ্য 



ব্যাপ্যতার দুটি নিয়ম : ব্যাপ্যতার দুটি নিয়ম হল ----

(১) সামান্য বচন (A,E)কেবলমাত্র উদ্দেশ্যকে ব্যাপ্য করে।

(২) নোঙ্গার্থক বচন (E,O) কেবলমাত্র বিধেয়কে ব্যাপ্য করে।




Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url