বাক্যকে বচনে রূপান্তরিত করার নিয়ম লেখ | HS Philosophy Suggestion 2025

বাক্যকে বচনে রূপান্তরিত করার নিয়মগুলি লেখ | উচ্চ মাধ্যমিক দর্শন সাজেশন 2025



বাক্যকে বচনে রূপান্তরিত করার নিয়মগুলি লেখ| উচ্চ মাধ্যমিক দর্শন সাজেশন
উচ্চ মাধ্যমিক দর্শন সাজেশন 

বাক্যকে বচনে রূপান্তরিত করার নিয়ম:-

বাক‍্য হলো ব‍্যকারনের ব‍্যাপার । বচন হলো যুক্তি বিজ্ঞানের  ব্যাপার। বাক্য সবসময় বচনের আকারে থাকে না । বাক্য কে বচন আকারে রূপান্তরিত করে নিতে হয় । বাক্যকে বচনে পরিনত করার বিভিন্ন নিয়ম আছে । সেগুলি হলো - (A) সাধারণ নিয়ম এবং (B) বিশেষ নিয়ম।


(A) সাধারণ নিয়ম: 

(1) বাক্যকে বচনে নিয়ে আসতে গেলে বাক্যের আকার অবশ্যই বদল করতে হবে । কিন্তু এই ক্ষেত্রে বাক্যের অর্থ কোনো মতেই পরিবর্তন করা চলবে না । 

যেমন -  এমন কোনো লোহার জিনিস নেই যা ভারি নয়। (বাক্য)
L.F.-  সকল লোহার জিনিস হয় ভারি বস্তু। (A)

(2) বচন আকারের ক্রম হল -
মানক - উদ্দেশ্যপদ - সংযোজক - বিধেয়পদ ।

(3) বচন আকারে ক্রমের অন্তর্গত প্রত্যাকটি অংশকে বাক্যর অর্থ বুঝে খুঁজে নিতে হবে ।
এক্ষেত্রে - (ক) কার সমন্ধে বলা হচ্ছে ? এর উত্তরে উদ্দেশ্য পাদকে পাওয়া যাবে (খ) উদ্দ্যেশের কতটুকু সমন্ধে বলা হচ্ছে ? সম্পূর্ণ না অংশ এর উত্তরে মানক পাওয়া যাবে । (গ) উদ্দেশ্য সমন্ধে কি বলা হচ্ছে - আর উত্তরে বিধেয় পদ পাওয়া যাবে (ঘ) বাক্যে যা পাওয়া যাবে তা স্বীকার করে বলা হচ্ছে না অস্বীকার করা হচ্ছে - আর উত্তরে সংযোজক পাওয়া যাবে ।

(4) বাক্যকে বচনে আনলে তার পরিমান ও তার গুন পরিষ্কার করে দেখিয়ে দিতে হবে ।

(5) কোনো বাক্যের অস্বীকৃতি বা না সূচক অংশকে বিধেয় পদের মধ্যে থেকে যেতে পারে ।কিন্তু বচনে বিধেয় পদকে পরিস্কার রাখতে হবে ।তাই এক্ষেত্রে বাক্যের অন্তর্গত না সূচক অংশটিকে কে সংযোজকের মধ্যে রাখতে হবে । 

যেমন - সে আসেনি । (বাক্য) 
L.F.-    সে নয় ব্যাক্তি যে এসেছ। (E)

(6) বাক্যকে বচন আকারে নিয়ে আসার পর ওই বাচনটির পাশে - পরিমান + গুন নির্দেশক প্রতীক হিসেবে A,E,I,O, - এই চারটির যেটি উপযুক্ত সেটি বসিয়ে দিতে হবে ।

(7) কোনো বাক্যকে বচন আকারে নিয়ে আসার পর অনেক সময় তার উদ্দেশ্য বা বিধেয় পদটি দীর্ঘ বা বহু শাব্দিক হয়ে যেতে পারে এক্ষেত্রে অর্থ ঠিক রেখে ওই দীর্ঘ বা বহু শাব্দিক পদকে সংক্ষিপ্ত করে নিতে হয় । 

যেমন - অসৎ ব্যাক্তিকে কোনো মতেই বিশ্বাস করা যায় না । (বাক্য)
L.F.-কোনো অসৎ ব্যাক্তি নয় বিশ্বাস যোগ্য ব্যাক্তি। (E)


(B) বিশেষ নিয়ম: 

(1) কোনো বাক্য সব, সবাই, সকল, যখনই, যা তা, সকল ক্ষেত্রে, যেখানিই, সমুদয়, সবপ্রকার, সবসময় নিয়ত চিরকাল, সমস্ত, সবরকম, সবর্দা, সর্বত্র, মাত্রই সর্বত্র, একান্ত ভাবে, স্বাভাবত, অবশ্যই, প্রত্যেক, যে কোনো, যে কেউ, সম্পুর্নভাবে,  নিশ্চিতভাবে, অনিবার্যভাবে, নিতান্তই, প্রভৃতি কথাগুলো থাকতে পারে । এরা বচন আকারে 'মানক' হিসাবে সকলকে নির্দেশ করে । এদের কোনো একটির সঙ্গে সংযোজক হিসাবে 'হয়' থাকলে A হবে । এবং 'নয়' থাকলে বচন আকার O হবে ।

যেমন - সমস্ত মানুষ সৎ নয়। (বাক্য)
L.F.-   কোনো কোনো মানুষ নয় সৎ ব্যাক্তি। (O)
      
          সমস্ত মানুষ সৎ নয়। (বাক্য)
 L.F.- কোনো কোনো মানুষ নয় সৎ ব্যাক্তি। (O)

(2) কোনো বাক্যে কোনো----------নয়, কদাপি---------- নয়, কেউ -----------নয়, কাউকে ----------নয়, কখনও ----------নয়, এক ----------নয়, নেই, একজনও নয়, একটিও নয়, একই সঙ্গে নয়, হতে পারে না, এমন, নয় যে, কোনো সময় নয় । এই ধরণের কথাগুলি থাকলে বাক্যটির বচন আকার E হবে ।

যেমন - লাল গোলাপ নেই। (বাক্য)
L.F.- কোনো গোলাপ নয় লাল। (E) 

         কাউকে দোষ দেওয়া যায় না ।
L.F.- কোনো মানুষ নয় দোষী ব্যাক্তি। (E)
         
          যে কোনো বৃত্ত বর্গক্ষেত্র নয়।
L.F.-  কোনো বৃত্ত নয় বর্গক্ষেত্র। (E)


(3) কোনো বাক্য কিছু কিছু, বহু, কিছু সংখ্যক, অল্প সংখ্যাক, অধিকাংশ, সাধারণত, অনেক, কয়েকজন, প্রায়প্রত্যেক, প্রায়সব, প্রায়ই, সম্ভবত, একটি ছাড়া সব, হতে পারে, কয়েকটি, কখনো কখনো, মাঝে মাঝে, প্রতিপয়, শতকরা (0%) শচরাচর, প্রভৃতি কথাগুলি বচনের মানক হিসাবে 'কোনো কোনো' কে নির্দেশ করে । এদের কোনো একটির সঙ্গে সংযোজক হিসাবে 'হয় ' থাকলে বচনের আকার 'I' হবে এবং 'নয়' থাকলে বচন আকার 'O' হবে ।

যেমন - অধিকাংশ মানুষ স্বার্থপর 
  L.F.- কোনো কোনো মানুষ হয় স্বার্থপর ব্যাক্তি (I)

  অধিকাংশ মানুষ স্বার্থপর নয় ।
L.F.-  কোনো কোনো মানুষ নয় স্বার্থপর ব্যাক্তি।  (O)





Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url