বিবর্তন কাকে বলে ? বিবর্তন কে অমাধ্যম অনুমান বলে কেন ? দৃষ্টান্ত সহ বিবর্তনের নিয়ম গুলি ব্যাখ্যা করো | All Education Newz
★ বিবর্তন কাকে বলে ? বিবর্তন কে অমাধ্যম অনুমান বলে কেন ? দৃষ্টান্ত সহ বিবর্তনের নিয়ম গুলি ব্যাখ্যা করো।
অথবা,
★ ব্যাবর্তন বা প্রতিবর্তন কাকে বলে ? ব্যাবর্তন বা বিবর্তনের নিয়ম গুলি উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা করো।
অথবা,
★ A,E,I,O - বচনের বিবর্তনের উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা করো।
অথবা,
★ বিবর্তনের সংজ্ঞা দাও ? বিবর্তনের নিয়ম গুলি লেখো।
অথবা,
★ বৈধ বিবর্তনের নিয়ম গুলি লেখো।
★বিবর্তনের বা প্রতিবর্তন :
যে অমাধ্যম অনুমানে প্রদত্ত বচন টির গুণের পরিবর্তন করে এবং সেই বচনটির বিধেয়ের বিরুদ্ধ পদকে সিদ্ধান্তের বিধেয়রূপে গ্রহণ করে একটি নতুন বচন গ্রহণ করা হয়, তাকে বিবর্তন বা পরিবর্তন বলে ।সকল মানুষ হয় মরণশীল ----- A (বিবর্তনীয়)
কোনো মানুষ নয় অ-মরণশীল ----- E (বিবর্তিত)
●বিবর্তনের নিয়ম - বিবর্তনের সময় নিম্নলিখিত নিয়ম গুলি অবশ্যই পালন করতে হবে ------
(১) আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য এক হবে ।
(২) আশ্রয়বাক্যের বিধেয়পদের বিরুদ্ধেপদ সিদ্ধান্তের বিধেয় হবে ।
(৩) আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুন ভিন্ন হবে । অর্থাৎ আশ্রয়বাক্য যদি সদর্থক হয়, সিদ্ধান্ত নঙ্গার্থক হবে আর আশ্রয় বাক্য যদি নঙ্গার্থক হয় সিদ্ধান্ত সদর্থক হবে । এই নিয়মটিকে বলা হয় গুণের নিয়ম ।
(৪) আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্তের পরিমান এক হবে । অর্থাৎ যদি আশ্রয়বাক্য সামান্য হয় তাহলে সিদ্ধান্ত সামান্য হবে । আর আশ্রয় বাক্য যদি বিশেষ হয় তাহলে সিদ্ধান্ত বিশেষ হবে । এই নিয়মগুলিকে বলা হয় পরিমাণের নিয়ম ।
● বিবর্তনের নিয়ম গুলি ব্যাখ্যা - বিবর্তনের নিয়মগুলিকে অনুসরণ করে A, E, I, O এই চার প্রকার বচনকে বিবর্তিত করা যায় --------
A , বচনের বিবর্তন :-
বিবর্তনীয় :- সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব --- A
বিবর্তিত :- কোন মানুষ নয় অমরণশীল জীব ---E
এখানে বিবর্তনের প্রথম নিয়ম অনুসারে আশ্রয় বাক্যের উদ্দেশ্য 'মানুষ' পদটিকে সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হিসাবে রাখা হয়েছে । দ্বিতীয় নিয়ম অনুসারে আশ্রয়বাক্যের বিধেয় পদের 'মরণশীল জীব' বিধেয় পদটি 'অমরণশীল জীব' সিদ্ধান্তের বিধেয় হয়েছে । তৃতীয় নিয়ম অনুসারে আশ্রয়বাকর গুণ (সদার্থক ) এবং সিদ্ধান্তের গুণ (নঙ্গার্থক) পৃথক হয়েছে । চতুর্থ নিয়ম অনুসারে আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের পরিমান অভিন্ন হয়েছে । অর্থাৎ উভয়ই সামান্য বচন । সুতরাং এক্ষেত্রে বিবর্তনের সকল নিয়মকে পালন করা হয়েছে বলে A বচনের বিবর্তিত রূপ হবে E বচন ।
E , বচনের বিবর্তন :-
বিবর্তনীয় :- কোনো মানুষ নয় পূর্ণ জীব --- E
বিবর্তিত :- সকল মানুষ হয় অ-পূর্ণ জীব --- A
এখানে বিবর্তনের প্রথম নিয়ম অনুসারে আশ্রয়বাক্যর ও সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য 'মানুষ' পদটির একই আছে । দ্বিতীয় নিয়ম অনুসারে আশ্রয়বাক্যের বিধেয় পদটি সিদ্ধান্ত । তৃতীয় নিয়ম অনুসারে আশ্রয়বাক্যের গুণ (নঙ্গার্থক) এবং সিদ্ধান্তের গুণ (সদর্থক) পরিবর্তিত হয়েছে । চতুর্থ নিয়ম অনুসারে আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের পরিমান একই আছে । অর্থাৎ উভয়ই সামান্য বচন । সুতরাং E বচনের বিবর্তন A হবে ।
I, বচনের বিবর্তন :-
বিবর্তনীয় :- কোনো কোনো মানুষ হয়
সৎ ব্যাক্তি ------ I
বিবর্তিত :- কোনো কোনো মানুষ নয়
অ-সৎ ব্যাক্তি ------ O
এখানে বিবর্তনের প্রথম নিয়ম অনুসারে আশ্রয়বাক্যের ও সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য 'মানুষ' পদটি একই আছে । দ্বিতীয় নিয়ম অনুসারে আশ্রয়বাক্যের বিধেয়ের বিরুদ্ধপদ 'অসৎ ব্যক্তি' সিদ্ধান্তের বিধেয় হয়েছে । তৃতীয় নিয়ম অনুসারে আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুন ভিন্ন হয়েছে । চতুর্থ নিয়ম অনুসারে আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের পরিমান একই আছে । সুতরাং (I) বচনের বিবর্তন (O) হবে ।
O , বচনের বিবর্তন :-
বিবর্তনীয় :- কোনো কোনো মানুষ নয়
স্বার্থপর ব্যাক্তি ------ O
বিবর্তিত :- কোনো কোনো মানুষ হয়
অ-স্বার্থপর ব্যাক্তি ------ I
এখানে বিবর্তনের প্রথম নিয়ম অনুসারে আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য 'মানুষ' পদটি একই আছে । দ্বিতীয় নিয়ম অনুসারে আশ্রয়বাক্যের বিধেয় পদের বিরুদ্ধ পদ সিদ্ধান্তের বিধেয় হয়েছে । তৃতীয় নিয়ম অনুসারে আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ ভিন্ন হয়েছে । চতুর্থ নিয়ম অনুসারে আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের পরিমান একই আছে । অর্থাৎ উভয়ই বিশেষ বচন । সুতরাং O বচনের বিবর্তন I হবে ।
● বিবর্তনকে অমাধ্যম অনুমান বলার কারণ :-
বিবর্তন এক প্রকার অমাধ্যম অনুমান । কেন না এ ক্ষেত্রে একটিমাত্র আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্তটি অনিবার্য ভাবে নিঃসৃত হয় আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্তের মধ্যস্থতত্তকারী হিসাবে অন্য কোন বচনের সাহায্য প্রয়োজন হয় না ।