অবৈধ সাধ্য দোষ, অবৈধ পক্ষ দোষ, দুটি নঙ্গার্থক আশ্রয়বাক্যে জনিত দোষ সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ - HS Philosophy Suggestion 2025
উচ্চ মাধ্যমিক দর্শন সাজেশন ২০২৫
অবৈধ সাধ্য দোষ
অবৈধ পক্ষ দোষ
দুটি নঙ্গার্থক আশ্রয়বাক্যে জনিত দোষ
নিম্নলিখিত বিষয়গুলির সম্পর্কে উপযুক্ত উদাহরণ সহকারে সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ।
অবৈধ সাধ্য দোষ :
যদি কোন ন্যায় অনুমানে সাধ্য পদটি (P) প্রধান আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে, সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয় তাহলে যুক্তিতে যে দোষ ঘটে, তাকে অবৈধ সাধ্য দোষ বলা হয়। যেমন ----
উদাহরণ :-
প্রাধান আশ্রয়বাক্য: সকল বুদ্ধিমান ব্যাক্তি হয় শিক্ষিত ব্যাক্তি ---- A
অপ্রাধান আশ্রয়বাক্য: নরেশ নয় বুদ্ধিমান ব্যাক্তি ---- E
সিদ্ধান্ত: নরেশ নয় শিক্ষিত ব্যাক্তি ---- E
দোষ : অবৈধ সাধ্য দোষ।
ব্যাখ্যা/বিচার : এই যুক্তিটি অবৈধ সাধ্য দোষ দুষ্ট হয়েছে। কেন না এখানে ন্যায়ের চতুর্থ নিয়মকে লঙ্ঘন করা হয়েছে। ন্যায়ের চতুর্থ নিয়মটি হল ---- "যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য নয় সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারে না" কিন্তু উক্ত যুক্তিতে সাধ্যপদটি (শিক্ষিত ব্যক্তি) প্রধান আশ্রয়বাক্যে A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি । অথচ ওই সাধ্যপদটি (P) সিদ্ধান্তে E বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে ন্যায়ের চতুর্থ নিয়মটি লঙ্ঘিত হয়েছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ।
অবৈধ পক্ষ দোষ
যদি কোনো ন্যায় অনুমানে পক্ষপদ (S) অপ্রধান আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে, সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয় তাহলে যুক্তির যে দোষ ঘটে তাকে অবৈধ পক্ষ দোষ বলা হয়। যেমন -----
উদাহরণ :-
প্রাধান আশ্রয়বাক্য: সকল দার্শনিক হয় উদার ব্যাক্তি ---- A
অপ্রাধান আশ্রয়বাক্য: সকল দার্শনিক হয় বুদ্ধিমান ব্যাক্তি ---- A
সিদ্ধান্ত: সকল বুদ্ধিমান ব্যাক্তি হয় উদার ব্যাক্তি ---- A
দোষ : অবৈধ পক্ষ দোষ।
ব্যাখ্যা : এই ন্যায় যুক্তিটি অবৈধ পক্ষ দোষে দুষ্ট হয়েছে। কেন না এখানে ন্যায়ের চতুর্থ নিয়মকে লঙ্ঘন করা হয়েছে। ন্যায়ের চতুর্থ নিয়মটি হল ---- "যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য নয় সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারে না" আলোচ্য যুক্তিতে পক্ষপদটি (বুদ্ধিমান ব্যক্তি) অপ্রধান আশ্রয়বাক্যে A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি কিন্তু ওই পক্ষপদটি সিদ্ধান্তে A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে ন্যায়ের চতুর্থ নিয়মকে লঙ্ঘন করছে। এই কারণে যুক্তিটি অবৈধ।
দুটি নঙ্গার্থক আশ্রয়বাক্যে জনিত দোষ
যদি কোনো ন্যায় অনুমানের দুটি আশ্রয়বাক্যেই নঙ্গার্থক হয় তাহলে ওই যুক্তিতে যে দোষ ঘটে তাকে দুটি নঙ্গার্থক আশ্রয়বাক্যে জনিত দোষ বলে। যেমন ----
উদাহরন:-
প্রাধান আশ্রয়বাক্য: কোনো মানুষ নয় চতুষ্পদী প্রাণী ---- E
অপ্রাধান আশ্রয়বাক্য: কোনো দেবতা নয় মানুষ ---- E
সিদ্ধান্ত: কোনো দেবতা নয় চতুষ্পদী প্রাণী ---- E
দোষ : দুটি নঙ্গার্থক আশ্রয়বাক্যে জনিত দোষ।
ব্যাখ্যা : আলোচ্য যুক্তিটি দুটি নঙ্গার্থক আশ্রয়বাক্যে জনিত দোষে দুষ্ট হয়েছে। কেননা, এখানে ন্যায়ের পঞ্চম নিয়মকে লঙ্ঘন করা হয়েছে । ন্যায়ের পঞ্চম নিয়মটি হল ---- 'দুটি আশ্রয়বাক্যে নঙ্গার্থক হলে কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে না'। উক্ত যুক্তিতে প্রধান আশ্রয়বাক্য (E) এবং অপ্রধান আশ্রয়বাক্য (E) উভয়ই নঙ্গার্থক বচন হওয়ায় ন্যায়ের পঞ্চম নিয়মটি লঙ্ঘিত হয়েছে। এই কারণে যুক্তিটি অবৈধ।